ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ-
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের পদ্মপুকুর নামক স্থানে পদ্মপুকুর-জিন্নানগর সড়কের পাশে আবাসিক এলাকায় সরকারি বিধি বিধান অমান্য করে ” বিএসটিআই ” অনুমোদন বিহীন অব্যবস্থাপনায় তোয়া ফুড নামের একটি পাওরুটি বিস্কুট কেক সহ বিভিন্ন আইটেমের বেকারী (ফ্যাক্টোরী) কারখানা তৈরি করেছে পদ্মপুকুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ওমর ফারুক নামের এক ব্যক্তি। রাত দিন ২৪ ঘন্টা ফ্যাক্টোরীর কালো ধুয়া ও যাত্রিক শব্দে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে ঐ এলাকায় বসবাসকারীরা। তোয়া ফ্যাক্টোরীর নিজস্ব ভাবে কোন পানি নিষ্কাশনের জায়গা না থাকায় ফ্যাক্টোরীর দুষিত বর্জ্যের দুর্গন্ধে পাশে থাকা আবাসিক ও বাসা বাড়ি সহ এলাকাবাসি চরম ভাবে জনদুর্ভোগে জীবন যাপন করছে। এছাড়া স্কুল কলেজে পড়ুয়া কমলমতি ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া চরম ভাবে ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। এমনকি বর্জ্যের দুর্গন্ধে খাওয়া দাওয়া পর্যন্ত রুচি বোধ হচ্ছে।লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায় ওমর ফারুক পদ্মপুকুর বাজারের জিন্নানগর গামী রোড়ের পাশে আবাসিক এলাকায় ১০ শতক জমি লিজ নিয়ে টিনের বেড়া টিনের চাল দিয়ে গত ৫/৬ বছর যাবত পাওরুটি বিস্কুট কেক তৈরি সহ বিভিন্ন আইটেমের একটি ফ্যাক্টোরী স্থাপন করে ব্যবসা করে আসছে। যার পচা পানি বর্জ্য নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় ঐ পচা পানিতে মশা মাছি জন্মে এলাকায় চরম ভাবে দুর্গন্ধে পরিনত হয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান পচা পানি ও বর্জ্যের দুর্গন্ধে আশে পাশের লোকজনদের চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে। এব্যাপারে তোয়া ফুড মালিককে বার বার জানানো সর্তেও তিনি কোন কর্নপাত করছে না। এবিষয়ে তোয়া ফুড ফ্যাক্টোরীর মালিকের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সকল প্রক্রিয়া মেনেই ফ্যাক্টোরী চালাচ্ছি আমার কাগজ পত্রের কোন ক্রটি নেই। এতে কারো কিছু করার থাকলে সে করতে পারে। এঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম অশান্তি বিরাজ করছে, দ্রত সমাধান না হলে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ীর সংঘর্ষ ঘটতে পারে। এঘটনায় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত কয়েকজন স্বাক্ষীর স্বাক্ষরিত আব্দুর রহিম ( ডাবলু ) বাদী হয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এলাকাবাসীর দাবী এই পচা দুর্গন্ধের হাত থেকে রক্ষা পেতে পরিবেশ অধিদপ্তর সহ মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হচ্ছে।
Leave a Reply