শহিদুল ইসলাম খোকন গাইবান্ধা প্রতিনিধি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে টাকা লেনদেনের বিষয়ে তর্কে জড়িয়ে মারপিটের ঘটনায় গ্রাম্য শালিসে মাতব্বরদের সামনেই আবারও ভুক্তভোগীদের মারপিটে রক্তাক্ত জখম ও শ্লীলতাহানি সহ গহনা চুরির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউপির জিরাই (আদর্শপাড়া) গ্রামে। সম্প্রতি এ ঘটনায় ওই গ্রামের মৃত চৈতন্য চন্দ্র দাসের ছেলে শম্ভু চন্দ্র দাস প্রতিবেশি নিরেন্দ্র, নির্মল, অতুল, অনন্ত, মহাদেব চন্দ্র দাসদের অভিযুক্ত করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি লিখিত এজাহার দিয়েছেন। লিখিত এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা গত ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় মহিমাগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসা মোড়ে রাজমিস্ত্রি নিশিন্দ্র ও হেলপার নর্তন চন্দ্র’র সাথে টাকা-পয়সা লেনদেন সূত্রে নিরেন্দ্র গংগদের সাথে তর্কে জড়ালে তারা মারপিট শুরু করে। এসময় তাদের আটকাতে গেলে অভিযুক্তরা লোহার পাইপ দিয়ে বাদীর ভাতিজা লালন চন্দ্রকে বেধরক মারপিট করে আহত করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়। এ ঘটনায় আপোষ-মিমাংসার জন্য গত ২৮ আগস্ট বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিনের বসতবাড়িতে শালিস বৈঠক বসে। সেখানে অভিযুক্তরা আবারও দেশীয় অস্ত্রে ভুক্তভোগী সম্ভুর বসতবাড়িতে প্রবেশ করে মারপিট শুরু করে। একপর্যায়ে তারা সম্ভুর স্ত্রীকে টানা-হেচড়ায় শ্লীলতাহানি ঘটায়, শরীরে থাকা স্বর্ণের গহনা ছিনতাই সহ তার কপাল ও হাতের আঙ্গুলে ৭টি সেলাইযুক্ত রক্তাক্ত জখম করে। প্রতিবেশিরা আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। ভুক্তভোগী শম্ভু জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা গ্রাম্য শালিসে এহেন কর্মকাণ্ডে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। স্ত্রীর চিকিৎসা কাজে কিছুটা সুস্থ্য হলে গোবিন্দগঞ্জ থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছি। আমি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ্ লিখিত এজাহার জমার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply