আজিজুর রহমান, যশোর জেলা প্রতিনিধি: কেশবপুরে ওয়ার্কসপ এর দোকানের মালামাল চুরি করার সময় সেলিম শেখ (৩০) নামের এক চোরকে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ আগস্ট (শনিবার) বিকেলে উপজেলার ভান্ডারখোলা বাজারে। সে ভোগতী নরেন্দ্রপুর গ্রামের শওকত আলীর ছেলে। খবর পেয়ে কেশবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চুরির মালামালসহ চোরকে গ্রেফতার করে। চুরির ঘটনায় দোকান মালিক হযরত আলী বাদী হয়ে থানায় একটি চুরির মামলা করেছেন। থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার ভান্ডারখোলা গ্রামের মৃত কাওছার আলী মোড়লের ছেলে হযরত আলীর (৫০) ভান্ডারখোলা বাজারে আরিফ ষ্টীল নামক ওয়ার্কসপ এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত ১৯ আগস্ট দুপুরে দোকানে না থাকার সুবাদে চোর সেলিম শেখ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শার্টার উঁচু করে ভিতরে প্রবেশ করে দোকানের ওয়ার্কসপ এর মালামাল একটি পুরাতন লোহার লোহার চ্যানেল, চারটি পুরাতন ষ্টীলের পাইপ, ছয় পিচ পুরাতন জিআই এ্যাংগেল, একটি পুরাতন লোহার তৈরী স্যালো মেশিন বসানোর পাত চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে ডাকচিৎকার দেয়। তাদের ডাকচিৎকারে দোকান মালিকসহ স্থানীয় জনতা দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে চুরির মালামালসহ সেলিম শেখকে আটক করে। ওইসময় অনেক লোকজনের সমাগম ঘটে এবং উত্তেজিত জনতা চোরকে মারপিট করে। খবর পেয়ে কেশবপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক জয় ব্যানার্জী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওয়ার্কসপ দোকানের চুরির মালামাল জব্দ করাসহ চোরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। চুরির ঘটনায় থানায় একটি চুরির মামলা হয়েছে। থানার মামলা নং-১০। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মফিজুর রহমান বলেন, ওয়ার্কসপ দোকানের চুরির মালামালসহ চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে রবিবার সকালে যশোর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। কেশবপুরে পর্নোগ্রাফি মামলায় দুই জন গ্রেফতার শামীম আখতার, বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) যশোরের কেশবপুরে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে এক গৃহবধূর দায়ের করা মামলায় দুই জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা উপজেলার ছোট পাথরা গ্রামের পীর আলী গোলদার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩০) ও দশকাহুনিয়া গ্রামের রেজাউল শেখের ছেলে রাহুল শেখ (৩২)। ওই গৃহবধূ গতকাল শনিবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করে। রবিবার সকালে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছোট পাথরা গ্রামের পীর আলী গোলদার ছেলে সাইফুল ইসলাম ২ বছর পূর্বে একই গ্রামের ওই গৃহবধূর সঙ্গে সখ্যতা তৈরী করে বিভিন্ন প্রলোভন ও কৌশলে তার মোবাইল ফোনে কিছু অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। মামলার দুই নম্বর আসামী রাহুল শেখ ছিল ওই গৃহবধূর মেয়ের স্বামী। চলতি বছরের ৭ জুলাই রাহুল শেখের সাথে গৃহবধূর মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে রাহুল শেখ ওই গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের হেয়প্রতিপন্ন ও মানহানি করার জন্য চেষ্টা করে আসছে। আসামি সাইফুল ইসলাম ও রাহুল শেখ পরস্পর যোগসাজশে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে বাদীর অশ্লীল ভিডিও বিভিন্ন সময় এলাকার লোকজনের মোবাইল ফোনে ম্যাসেঞ্জার ও শেয়ারের মাধ্যমে সরবরাহ করে সামাজিক ও ব্যক্তি মর্যাদাহানী করে। অশ্লীল ভিডিওটি এলাকায় ভায়রাল হয়ে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পেরে ওই গৃহবধূ গতকাল শনিবার রাতে সাইফুল ইসলাম ও রাহুল শেখকে আসামী করে কেশবপুর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করেন। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মফিজুর রহমান বলেন, পর্নোগ্রাফি আইনে গৃহবধূর করা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার সকালে গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply