মোঃ শাহাব উদ্দিন আহমেদ শিহাব কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার)প্রতিনিধি ঃ সিলেট বন বিভাগের আওতাধীন রাজকান্দি বন রেঞ্জ কর্মকর্তার অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি বনজ সম্পদ ধ্বংস হতে চলেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানা যায়, রাজকান্দি বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: তৌহিদুল ইসলাম রেঞ্জের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে নানা অনিয়ম,দূর্ণীতি ও স্বেচ্চাচারিতার একক রাজত্ব কায়েম করেছেন। রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম ও তার অধিনস্ত কর্মচারী বাগান মালি ফরিদ মিয়ার সহযোগিতায় “অবৈধ অর্থের” বিনিময়ে প্রায় রাতেই অবৈধভাবে বন রেঞ্জের আওতাধীন বন বিট এলাকা থেকে চোরাকারবারিরা বাঁশ ও গাছ পাচার হচ্ছে। ফলে বনজ সম্পদ ধ্বংস হতে চলেছে। অভিযোগে আরো জানা যায়,বন রেঞ্জের আওতাধীন আদমপুর,কুরমা ও কামারছড়া বন বিটের বনের মধ্যে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বিপুল অর্থের বিনিময়ে “স্থাণীয় বাঙ্গালীদের” পান চাষের অনুমোদন দিয়েছে। পান চাষ করতে গিয়ে সেখানকার শ্রমিকরা অবাধে বনের ভিতরে প্রবেশ করছে এবং অদক্ষ পান চাষীরা যথেচ্ছা ভাবে বনের গাছপালা চাটাই করে বনজ সম্পদ ধবংস করছে। অপরদিকে রেঞ্জের আওতাধীন আদমপুর বন বিটের ডালুয়া বল্কের বিভিন্ন স্থান থেকে গত জুন মাসে ১৪/১৫টি সেগুন গাছ সহ নানা প্রজাতির প্রায় ২৫/৩০টি গাছ ঝড়ে পড়ার নামে রেঞ্জ ও বিট কর্মকর্তা মিলে পাচারকারীদের সহযোগিতায় গাছ কেটে নামমাত্র কাঠ বিট অফিসে সংরক্ষন করছেন। ৯ অক্টোবর সরেজমিনে ডালুয়াছড়া গভীর অরণ্যে ঘুরে দেখা যায়,উল্লেখিত স্থান থেকে বৃহৎ আকারে বিভিন্ন প্রজাতি গাছ কাটছেন এবং হাতি দিয়ে টেনে বিট অফিস সংলগ্ন স্থানে সংরক্ষন করছেন। এছাড়া আরো দেখা গেছে,গাছ কাটার পর পরই কাঠা গাছের মোথায় মার্কা দেয়ার নিয়ম থাকলে ও তা করছেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুত্রে জানা যায়, বৃহৎ আকারের গাছ কাটার পর পরই গাছের মধ্যাংশের অংশটুকু স্থানীয় গাছ চোরাকারবারীদের নিকট বিক্রি করে নামমাত্র কাঠ সংরক্ষন করছেন। এদিকে গত সপ্তাহে দুপুরে ট্রাক ও পিকআপ যোগে গাছ পাচার করতে দেখা যায়। তখন রেঞ্জ কর্মকর্তাকে ফোনে খবর দিলে ও পাচারকৃত ট্রাক ও পিকআপ আটক করতে সক্ষম হয়নি। যাহা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সরজমিনে তদন্ত করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে। রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলামের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, ট্রাক ও পিকআপ দিয়ে গাছ পাচারের সংবাদ পেয়ে আটক করার জন্য গেলে ও গাড়ি আটক করা সম্ভব হয়নি। অপর প্রশ্নের জবাবে বলেন,লাউয়াছড়া বন থেকে গাছ কেটে হাতি দিয়ে গাছ টানানোর ঘটনাটি আমার জানা নেই।
Leave a Reply